jobedubd3415 Avatar

Hayatus Sahabah (Ra.)

গুনাহগারদের জন্য দোয়া করা
হযরত ওমর (রাঃ)এর দোয়া করা

ইয়াযীদ ইবনে আসাম্ম (রহঃ) বলেন, সিরিয়াবাসী এক ব্যক্তি অত্যন্ত শক্তিশালী যোদ্ধা ছিল। সে হযরত ওমর (রাঃ)এর নিকট আসা যাওয়া করিত। হযরত ওমর (রাঃ) তাহাকে কিছুদিন যাবৎ দেখিতে না পাইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, অমুকের বেটা অমুকের কি হইল? লোকেরা বলিল, আমীরুল মুমিনীন, সে তো শারাব পান করিতে আরম্ভ করিয়াছে এবং অনবরত শরাব পান করিয়া যাইতেছে। হযরত ওমর (রাঃ) আপন মুনশীকে ডাকিয়া বলিলেন, এই মর্মে চিঠি লেখ—

‘এই চিঠি ওমর ইবনে খাত্তাবের পক্ষ হইতে অমুকের বেটা অমুকের নামে——সালামুন আলাইকা, আমি তোমার নিকট আল্লাহ তায়ালার প্রশংসা করিতেছি যিনি ব্যতীত কোন মা’বুদ নাই, যিনি গুনাহ মার্জনাকারী ও তওবা কবুলকারী, কঠোর শাস্তি প্রদানকারী, অনুগ্রহকারী, যিনি ব্যতীত কোন মা’বুদ নাই তাহারই নিকট ফিরিয়া যাইতে হইবে।’

অতঃপর সঙ্গীদেরকে বলিলেন, তোমাদের ভাইয়ের জন্য আল্লাহর নিকট দোয়া কর, যেন আল্লাহ তাহার অন্তরকে ফিরাইয়া দেন এবং তাহাকে তওবা করার তৌফিক দান করেন। তারপর যখন হযরত ওমর (রাঃ)এর চিঠি তাহার নিকট পৌঁছিল তখন সে উহা বারবার পড়িতে লাগিল এবং বলিতে লাগিল, তিনি গুনাহ ক্ষমাকারী তওবা কবুলকারী, এবং কঠোর শাস্তি প্রদানকারী। (এই আয়াতে) আল্লাহ তায়ালা আমাকে আপন শাস্তির ভয় দেখাইয়াছেন এবং ক্ষমা করার ওয়াদাও করিয়াছেন।

হায়াতুস সাহাবা
হায়াতুস সাহাবা



আবু নুআঈমের রেওয়ায়াতে অতিরিক্ত ইহাও বর্ণিত হইয়াছে যে, সে উহা বারবার পড়িতে লাগিল আর কাঁদিতে লাগিল। তারপর সে শারাব পান করা ছাড়িয়া দিল এবং সম্পূর্ণ ছাড়িয়া দিল। হযরত ওমর (রাঃ) যখন তাহার অবস্থা জানিতে পারিলেন তখন বলিলেন, এইভাবে করিও, যখন দেখ তোমার ভাইয়ের পদস্খলন হইয়াছে তখন তাহাকে সরলপথে লইয়া আসিবে এবং তাহাকে আল্লাহ তায়ালার ক্ষমার প্রতি আশান্বিত করিবে এবং তাহাকে আশ্বাস দিবে। আর আল্লাহর নিকট দোয়া করিবে, যেন তাহাকে তওবার তৌফিক দান করেন। তোমরা তাহার বিরুদ্ধে শয়তানের সাহায্যকারী হইও না। (এবং তাহাকে আল্লাহর রহমত হইতে নিরাশ করিও না।)

 

হায়াতুস্ সাহাবাহ্ (রাযিয়াল্লাহু আনহুম)
৫ম খন্ড, পৃষ্ঠা-১১৭.

হায়াতুস্ সাহাবাহ্ (রাযিয়াল্লাহু আনহুম) আরো পড়তে ক্লিক করুন

 

 

jobedubd3415 Avatar

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *